বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনার সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের কে একটি অজানা বিষয় সম্পর্কে জানাবো। আর সেই অজানা বিষয় টি হচ্ছে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন ও স্টুডেন্ট ফাইল কি? কেননা বিদেশে পড়াশোনা করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই যে কোন ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করতে হবে। আর এর জন্য আপনাকে স্টুডেন্ট ফাইল ব্যাংকিং সুবিধা দেয় এমন ব্যাংক খুজে নিতে হবে। তবে ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেনিং করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। অথবা যে সব ব্যাংক এসব বিষয়ে দক্ষ ঐ সব ব্যাংকে করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাহলে চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক আমাদের আজকের মূল আলোচ্য বিষয় স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
স্টুডেন্ট ফাইল কি
কোন নির্দিষ্ট ইউনিভার্সিটিতে অ্যাপ্লিকেশান ফি/টিউশন ফি, হোস্টেল/বাসা ভাড়া পাঠানোর জন্য বৈধ ও নিরাপদ উপায় হল ব্যাংক চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থের লেন দেন করা। আর এজন্য ব্যাংকে স্টুডেন্টের নামে যে বিশেষ একাউন্টস (হিসাব) খোলা হয় তার নাম স্টুডেন্ট ফাইল। বিদেশে পড়শোনা করতে হলে অ্যাপ্লিকেশান ফি/টিউশন ফি, হোস্টেল/বাসা ভাড়ার জন্য টাকা দিতে হয়। আমাদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী অ্যাপ্লিকেশান ফি, টিউশন ফি অথবা হোস্টেল ফি এর টাকা কিভাবে বাড়ি থেকে নিয়ে যাবে এই দুশ্চিন্তায় থাকে। তবে অনেকেই জানে না স্টুডেন্ট ফাইল নামে কোন মাধ্যম আছে। তাদের এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য রয়েছে স্টুডেন্ট ফাইল ব্যাংকিং সুবিধা।
স্টুডেন্ট ফাইল হচ্ছে একটি লেনদেনের মাধ্যম। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থী নিদিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে মাসে মাসে প্রয়োজনীয় টাকা উত্তোলন করতে পারে। সে জন্য বিদেশে পড়তে যাওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করতে হয়। স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন না করে কোন শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করতে পারবে না।
স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন সম্পর্কে বিস্তারিত
ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করার সময় আপনাকে অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা এখানে অনেক অপশন রয়েছে। যা আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। তবে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে সকল ব্যাংকের অনলাইন লেনদেনের ব্যবস্থা আছে তাদের সম্পর্কে। স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করার ক্ষেত্রে এই ব্যাংক গুলোকে বেশি পছন্দ করা হয়। আর ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন সময় সেই ব্যাংকের এই ব্যাপারে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে কি না সেটা দেখে নেওয়া উচিত। আর তারা দ্রুত ও নিরাপদে টাকা ট্রানজ্যাক্ট করতে পারছে কি না সে বিষয়েও খোঁজ নিতে হবে। কেননা সময়মত টাকা পৌছাতে না পারলে হয়তবা দূরঘটনা ঘটতে পারে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য কিছু প্রচলিত ব্যাংকের তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো। স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন বিষয়ে এই ব্যাংক গুলো বর্তমানে অনেক ভালো সেবা প্রদান করছে।
- ব্র্যাক ব্যাংক (Brack Bank)
- সিটি ব্যাংক (City Bank)
- ইনিসটার্ন ব্যাংক (Eastern Bank)
- কর্মাশিয়াল ব্যাংক অব সিলন (Commercial Bank of Ceylon)
- স্টান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক (Standard Chartered Bank)
এছাড়াও আপনি বেশ কয়েক টি সরকারি ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করতে পারেন। উপরে উল্লেখিত ব্যাংক গুলো ছাড়াও অন্যান্য ব্যাংক কে গিয়ে আপনার পছন্দের অপশন বিবেচনা করে ব্যাংক নির্বাচন করতে পারেন।
স্টুডেন্ট ফাইল ওপেনিং এর সময় আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস বা তর্থ নিয়ে ব্যাংকে যাবেন। তারা আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় তথ্য দেখে শুনে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
সাধরণত এই স্টুডেন্ট ফাইল ওপেনিং ডকুমেন্টসের লিস্ট ব্যাংক থেকে ব্যাংক ভিন্ন হয়। নিচে প্রচলিত ডকুমেন্টসের একটি তালিকা দেওয়া হল
ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১। ১ কপি ছবি ( নিজের )।
২। জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট এর ফটোকপি ( নিজের )।
৩। একজন নমিনির জাতিয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি।
৪। নমিনির নামে বিলের (বিদ্যুৎ, গাস) কপি, ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স, চাকুরীজীবী হলে সেলারি। সার্টিফিকেট এর ফটোকপি।
৫। নমিনির ১ কপি ছবি।
স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১। এডমিশন লেটার।
২। ২ কপি ছবি।
৩। সকল সনদপত।
৪। যেই ব্যাংক এ টাকা পাঠাবেন তার রিফান্ড পলিসি।
৫। যেই বিষয় এ পড়বেন সে সম্পর্কে তথ্য, যেমন কত Semester, কত দিন লাগবে পড়তে।
৬। এমব্যাসির ভিসা Requirement পেজ, যেখানে টাকার পরিমান দেয়া আছে।
৭। নতুন এবং পুরান পাসপোর্ট এবং তার ফটোকপি।
এভাবে আপনি স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করতে পারবেন। তবে একেক ব্যাংকে একেক ডকুমেন্টস চায়, তাই যে ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করবেন সে ব্যাংকের ওয়েবসাইট অথবা সরাসরি যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিবেন।
আপনি আরো পড়তে পারেন, আমাদের ওয়েবসাইটে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহনের জন্য যেসব তথ্য জেনে নেয়া প্রয়োজন।