অস্ট্রেলিয়ায় কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায়

0
221
অস্ট্রেলিয়ায় কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায়
অস্ট্রেলিয়ায় কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায়

আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের কে অস্ট্রেলিয়ায় কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায় সেই বিষয়ে কথা বলব। চলুন বন্ধুরা শুরু করি, অস্ট্রেলিয়ায় কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায়। সেই বিষয়ে-

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছাত্র-ছাত্রীর পছন্দের তালিকার মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ায় ৪৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭টি রয়েছে বিশ্বের অবস্থানরত ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে স্কলারশিপ ও ওয়েভার নিয়ে ব্যবসাপ্রশাসন, নার্সিং, কৃষি, স্বাস্থ, প্রকশৌলী, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন ডিপ্লমা, স্নাতক, স্নাতোকোত্তর ও পিএইচডি করার যথেষ্ঠ সুযোগ।

আমার এই সাইডে অনেকেই প্রশ্ন করেছে যে, অস্ট্রেলিয়ায় কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায় বা তারা কিভাবে পড়বে ও তারা ঠিক কোন জায়গা থেকে শুরু করবে তা তারা খুজে পাচ্ছে না। এই নিয়ে তারা অনেক সমস্যায় আছেন। আমাকে যারা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন তা আমি সামগ্রিকভাবে তাদের প্রশ্নের ভাগ করেছি। আমি অস্ট্রেলিয়ায় কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করলাম।

অস্ট্রেলিয়ায় কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায়-

০১. আপনি কি অষ্ট্রেলিয়ায় পড়তে চান, এখনো ঠিক করতে পারেননি যে, কোথায় যাবেন। এরকম একটা অপশন হিসাবে অষ্ট্রেলিয়ার কথা ভাবছেন? এরকম সুযোগের জন্য আপনি পিয়ার পারমানেন্ট রেসিডেন্সিতে অনেক সুযোগ রয়েছে।

০২. আপনি কি আন্ডারগ্র্যাডে(ব্যাচেলরে) পড়তে চাচ্ছেন অষ্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই ভাবছেন কিভাবে আবেদন করবেন? কোন বিষয় পড়লে অস্ট্রেলিয়াতে থেকে যাওয়া যায়, এখানের লিভিং এক্সপেন্স কেমন, ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ কেমন, কাজ করে কতটুকু খরচ ওঠানো যায় তা জানতে চাচ্ছেন?

০৩. আপনি কি অস্ট্রেলিয়ায় মাস্টার্স করতে চাচ্ছেন, আর তাই আপনি কিভাবে আবেদন করতে হবে? কোর্স ওয়ার্ক বেইস মাস্টার্স ভালো না রিসার্চ বেইস মাস্টার্স ভালো সেটা জানতে চাচ্ছেন, মাস্টার্স করে অস্ট্রেলিয়া থেকে যাবার সুযোগ কেমন বা খরচ কেমন, স্কলারশিপ পাবার সম্ভাবনা আছে কতটুকু, স্কলারশিপ না পেলে অন্য উপায় আছে কিনা?

০৪. আপনি কি পিএইচডির কথা ভাবছেন? সেক্ষেত্রে কিভাবে আপনি আবেদন করবেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি চায়। আর কিভাবে সুপারভাইসর পাওয়া যায়? আবেদন শুরু করতে হবে কতদিন আগে। কিভাবে আবেদন করলে ফান্ডিং পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে?

০৫. কিছু কিছু ক্ষেত্র অনেকেই জানে না তারা মাস্টার্স করবে নাকি পিএইসডি করবে? তারা শুধু চায় স্কলারশিপ নিয়ে বাহিরে যেতে চায়।

০৬. এখনো অনেকেই জানে না অস্ট্রেলিয়ায় কোন বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ভালো। এবং তাদের র‍্যাংকিং কেমন? কোন শহরে বা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে খরচ কম লাগে, পাশ করা সহজ ও পি-আর নেয়া যাবে?

আর তাই বিদেশে যাওয়ার আগে আপনাকে সবকিছু জেনেশুনে যাওয়াটাই জরুরি। হ্যা তবে এটা ঠিক যে, বিদেশে পড়তে যাওয়াটা একটু ব্যয়-বহুল ও সময়ের ব্যাপার। তাই শুধু সামর্থ্য থাকলে টিউশনি ফি দিয়ে পড়াই উত্তম। তা না হলে, আপনার প্রোফাইল দিয়ে কোন স্কলারশিপ পাবেন কিনা তা যাচাই করে এ পথে পা বাড়ানো উচিত।

যেকোনো পরিস্থিতি তেই কোন অনভিজ্ঞ দালাল/ এজেন্ট (আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ও প্রশিক্ষিত নয় এমন) অথবা প্যাকেজ সিস্টেম এ (অমুক টাকার বিনিময়ে আপনাকে ভিসা পাইয়ে দিবে) কারো সাথে লেনদেন করা উচিত নয়।

ভর্তির যোগ্যতাঃ

নুন্যতম কী কী যোগ্যতা থাকা উচিতৎ তা নির্ভর করবে আবেদনকারীর সার্বিক অবস্থার ওপর। কিন্তু তবে কমপক্ষে এইচএসসি পাস করতে হবে, ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ফান্ড- এই তিনটি যোগ্যতার ওপর ভিসা পাবার সম্ভবনা বেশি থাকবে।

কেন অস্ট্রেলিয়ায় কেন পড়বেনঃ

অস্ট্রেলিয়ার জীবন ব্যবস্থা উন্নত ও নিরাপদ, পড়াশুনার মান উন্নত এবং অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশের মত আবহাওয়া। পড়াশুনা শেষ করে স্থায়ীভাবে বসবাসের ও কাজের সুযোগ।

ছাত্র-ছাত্রী অবস্থায় পার্টটাইম কাজের সুবিধা থাকার কারণে বহিঃবিশ্বের অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের মত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও অস্ট্রেলিয়াকে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রাখে। প্রতি বছর সারাবিশ্ব থেকেপ্রায় ছয়-সাত লক্ষ শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়াতে পড়তে যায়। এখানকার স্থানীয়রা অনেক বন্ধুসুলভ।

অস্ট্রেলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরুপ আরও রয়েছে লীলাভূমি। লীলাভুমি দেশটিতে রয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি সমুন্দ্র সৈকত। তুলনামূলক অন্যান্য সমমানের দেশের তুলনায় কম খরচ অনেক কম এমন শান্তিপূর্ণ একটি দেশে মানসম্মত শিক্ষার কারণে উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে দেশটি প্রতিবছর হাতছানি দেয় হাজারো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে। আর তাই অস্ট্রেলিয়াতে পড়তে ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে।

ওয়েভার পাওয়ার সু্যোগঃ

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত অস্ট্রেলিয়াতেও বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের সুযোগ আছে। অস্ট্রেলিয়াতে মাস্টার্স ও পিএইচডি করার জন্য সুযগটা একটু বেশি। আর এই স্কলারশি বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমনঃ (ক) ফুল ফান্ডিং ও লিভিং এক্সপেন্সেস স্টাইপেন্ডসহ স্কলারশিপ (খ) ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপ (গ) পার্শিয়াল ফান্ডে স্কলারশিপ (১০% থেকে ৮০%)। ভালোমানের স্কলারশিপের জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। এবং আপনার প্রোফাইল তত ভালো হবে।

তাছাড়া আপনি আপনি তত বেশি প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবেন। আবার অনেকেই আছে যাদের কোন স্কলারশিপ নাই কিন্তু তারা বিদেশে পড়তে চায় নিজ খরচে তারাও নূন্যতম যোগ্যতা থাকলে আবেদন করতে পারবেন।

আপনার একাডেমিক ফলাফল (৬০%) , IELTS স্কোর (৬) বা PTE স্কোর (৫০) এবং প্রাথমিক খরচের জন্যপ্রয়োজনীয় অর্থ এবং ব্যাংক স্টেটমেণ্টে প্রয়োজনীয় টাকার অ্যামাউন্ট দেখাতে পারলে ভিসা পেতে খুব বেশি সমস্যা হয়না।

আপনার যদি নূন্যতম যোগ্যতার চেয়ে কিছুটা কম থাকে তারপরও আপনি আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার প্রাথমিক খরচটা বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভবনা অনেক কম। সবচেয়ে বড় কথা হল আপনি কতটুকু খরচ বহন করতে পারবেন এইসব চিন্তা করে আপনি বিশ্বম্বিদ্যালয়ে কোর্স নির্বাচন করুন।

অস্ট্রেলিয়াতে স্কলারশিপের আবেদন প্রসেস –

আপনি যদি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আগে আপনাকে স্কলারশিপ প্রদানকারী সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে ওই স্কলারশিপের নূন্যতম যোগ্যতা, স্কলারশিপের শর্তাবলী এবং ডেডলাইন সম্পর্কে জানতে হবে।

আর এই সমস্থ সাইটে পরবর্তী ধাপগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্কলারশিপের পূরতকৃত আবেদন পত্র, মোটিভেশন লেটারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি স্কলারশিপ প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগেরপ্রফেসর বরাবর পাঠাতে হয়।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কর্তৃপক্ষ আপনাকে তাদের সিদ্ধান্ত ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিবে। যদি সেই কর্তৃপক্ষ স্কলারশিপ আপনাকে দিতে চায়।

আর যদি আপনি এই স্কলারশিপ পেয়ে যান তাহলে আপনাকে সেই অফার লেটার সহ স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি স্কলারশিপ ও ভিসা সম্পর্কে যাবতিয় তথ্য ইন্টানেটে পেয়ে যাবেন।

কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে, ছাত্র-ছাত্রীরদের উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সোশ্যাল মিডিয়ার বড় ডিসকাশন গ্রুপগুলোতে যোগ দিয়ে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীরদের পরামর্শ নিতে পারেন । এক্ষেত্রে আপনার অনেক সুবিধা।

সেলফ-ফান্ডিং আবেদন প্রসেস কিভাবে করবেনঃ

৬ মাসের মত সময় লেগে যায় আপনার সেলফ-ফান্ডিং এ ফাইল প্রসেসিং করতে ও ভিসার সিদ্ধান্ত নিতে। সাধারনত অস্ট্রেলিয়াতে ২টি সেশন থাকে। ফেব্রুয়ারীতে ও জালাইয়ে। আবেদন পত্র ও কাগজপাতি প্রসেস করতে হাতে অনেক সময় রাখতে হয়। সাধারনত আপনাকে ক্লাস শুরুর প্রায় ৬ মাস আগেই ভিসার জন্য আবেদন করা উচিতৎ।

উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টসহ কোনো প্রফেশনাল কন্সালটেন্টের মাধ্যমে আবেদন করলে ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে অফার লেটার পেতে পারেন। অফার লেটারে উল্লেখিত বিস্তারিত তথ্য ব্যবহার করে টিউশন ফি দিয়ে দিলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কনফারমেশন অফ এনরোলমেন্ট পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়ায় কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায়

তার পর পরই ই-ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। ১থেকে ২সপ্তাহের মধ্যে আপনার মেডিকেল ও বায়োমেট্রিক্সের ইনভাইটেন আসে। ভিসা আবেদনের ৪থেকে ৮মাসের সপ্তাহের ভিতরে ভিসা সিদ্ধান্ত আসে।

ব্যাংক স্টেটমেন্ট আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ইংল্যান্ডসহ অনেক দেশের মতই অস্ট্রেলিয়্না স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে স্পন্সর দেখতে হয়। ছাত্র-ছাত্রীর পরিবারের সদস্য বিদেশে থাকা শিক্ষার্থীর সময়ের মধ্যে সব খরচ করতে সক্ষম হতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ায় ইমিগ্রেশনকে ডকুমেন্টস দিয়ে প্রমাণ করানোই হল স্পন্সরশীপের মূল লক্ষ্য। আর এসকল দেশের স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে উক্ত ফান্ড নিজের পরিবারের এক বা একাধিক জনের একাউন্ট দেখাই শ্রেয়। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষ নিকট আত্বীয় স্পন্সর হতে পারেন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অস্ট্রেলিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে তা নির্ভর করবে আবেদনকারীর সার্বিক অবসস্থার উপর। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রায় সকল একাডেমিতে পরীক্ষার নম্বর পত্র, সনদপত্র এবং পাসপোর্ট (সত্যায়িত ও প্রত্যায়িত হতে হবে), IELTS/PTE সনদ, অফার লেটার ও কনফারমেশন অফ এনরোলমেন্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্পন্সরশিপ ডিক্লারেশন ও জন্ম নিবন্ধনপত্র, SOP, চিকিৎসা বীমা ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রভৃতি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।

অস্ট্রেলিয়ায় পার্টটাইম জবঃ

অস্ট্রেলিয়ার সরকারের নিয়ম অনুযায়ী একজন বিদেশী শিক্ষার্থী ক্লাস চলাকালিন তারা দিনে ২০ঘন্টা কাজ করতে পারে। তবে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছুটিতে যত খুশি তত কাজ করতে পারে।

এ কারনে সেলফ-ফান্ডিংএ উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করা অনেক ছাত্র-ছাত্রীরও নিজ আয়ে তাদের সব খরচ চালাতে পারেন। এই সুবিধাটা অসস্ট্রেলিয়াতে আছে।

কিছু উপদেশঃ

ক. উচ্চ শিক্ষার যাওয়ার আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান, কোন কোর্সে ভর্তি হতে চান এবং আপনার ক্যাম্পাস কেমন হবে এইসব বিষয়ে আপনাকে আগে ধারণা নিতে হবে। আপনি যে কোর্সটি নির্বাচন করতে যাচ্ছেন, তা ভবিষ্যতে আপনার ক্যারিয়ারে কিভাবে কাজে আসবে তা বিবেচনা করে নিতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায়

খ. আন্তর্জাতিক যোগ্যতাসম্পন্ন এডুকেশন কন্সালটেন্ট যারা PIER-QEAC (Qualified Education Agent Counsellor) সার্টিফায়েড তাদের সাহায্য নিতে পারেন, এতে আপনার ভিসার সিদ্ধান্ত পেতে অনেক কম সময় লাগবে।

আর আপনাকে মনে রাখতে হবে, একবার ভিসা পেতে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। সর্বোপরি আপনি যে প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ নিচ্ছেন তাদের অস্ট্রেলিয়ায় কার্যক্রম আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিবেন। তা না হলে কোন কাজ হবে না।

গ. GTE-জেনুইন টেম্পরারি এন্ট্র্যান্স এর ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করতে হবে। যাতে করে Statement of Purpose (SOP) তৈরিতে এক্সপার্টদের পরামর্শ নিন, খেয়াল রাখবেন আপনার SOP যাতে ইউনিক এবং মানসম্মত হয়। আর SOP যদি মানসম্মত না হয় তাহলে সমস্যায় পড়তে পারেন।

ঘ. কোনো চটকদার/দালালের বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হবেন না। ভিসা পাবার নূন্যতম যোগ্যতা না থাকলে অর্থের বিনিময়ে কেউ আপনাকে নিয়ে দিতে পারবে না। আর তাই আপনাকে এই বিষয় সাবধান থাকতে হবে।

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা এই ছিল অস্ট্রেলিয়ায় স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়  এই আলোচনা। আপনারা সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনায় আজকের মত শেষ করছি। আর আপনারদের কেমন পোষ্ট পছন্দ তা আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন। আল্লাহ হাফেজ।

আরো পড়তে পারেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাওয়ার্ড স্কলারশিপের বিস্তারিত তথ্য। ধন্যবাদ।

লেখক মোঃ আমিনুল ইসলাম